কিরগিজস্তানে তিন জাতি টুর্নামেন্টে রবিবার ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। তবে লড়াইটা প্রত্যাশামতো হলো না। শুরুর দিকে পাসিং ফুটবলে কিছুটা আক্রমণের চেষ্টা হলেও কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ঠিকই গোল বের করে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফিলিস্থিনিরা। এরপর সেই রক্ষণাত্মক ফুটবলটাই খেলতে হয়েছে। তাতে ব্যবধান আর বাড়তে না দেওয়াটাই যেটুকু প্রাপ্তি তিন জাতি টুর্নামেন্টের প্রথম এই ম্যাচে। পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে দল সাজিয়েছেন জেমি।

তিন সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ, রেজাউল করিম ও তারিক কাজীর সঙ্গে দুই ফুলব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষ ও ইয়াসিন আরাফাত। মাঝমাঠে জামাল ভুঁইয়ার সঙ্গে সোহেল রানা। ওপরে রাকিব হোসেন, সাদ উদ্দিন ও মতিন মিয়া। শুরু থেকে পাসিং ফুটবলে ফিলিস্তিনিদের চাপ সামলে আক্রমণেও উঠছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের আধঘণ্টায় স্কোরলাইন ০-০। জেমির দল প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে কোনো হুমকি হতে পারেনি ঠিক, কিন্তু অন্য প্রান্তে ফিলিস্তিনও পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তখন। ৩২ মিনিটে প্রথম পিছিয়ে পড়ায় গোলরক্ষক শহীদুল আলমের দায় আছে।

মাঝমাঠ থেকে একটা লং বল রিসিভ করেছিলেন মাহমুদ ইদ বক্সের ওপরে, সোহেল সেই বল ক্লিয়ার করতেই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, কিন্তু বল পাননি। ইদের চিপ তাঁর মাথার ওপর দিয়ে পোস্টের সামনে, সেখান থেকে টোকায় বল জালে জড়িয়েছেন আওয়াল খারুব। এরপর অবশ্য শহীদুলই দুটি ভালো বল সেভ করেছেন বিরতির আগে। মুসা ফারাউরির ক্রসে ইদের হেড ফিরিয়েছেন দ্রুত প্রতিক্রিয়ায়। ৪৪ মিনিটে ইদের ফ্রি কিকে ফাদি জিদানকেও হতাশ করেছেন তিনি।

কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে গুছিয়ে ওঠার আগেই আরেক গোল হজম করে বসে জেমি ডে’র দল। ইদ এবার বাঁ দিক থেকে ক্রস ফেললে ওপরে উঠে আসা ডিফেন্ডার ইয়াসির আহমাদ দারুণ হেডে তা জালে জড়িয়েছেন। ২-০তে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। গোল ফিরিয়ে দেওয়ার বদলে ব্যবধানটা আর বাড়তে না দেওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।